১৪ থেকে ১৮ বছরের ১৪ শিশু-কিশোরকে সাজা না দিয়ে ব্যতিক্রমী রায় দিয়েছে সুনামগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এদেরকে কোথাও বন্দি না রেখে আটটি শর্তে বাবা মায়ের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
এদেরকে আগামী এক বছরে কমপক্ষে ২০টি গাছ রোপন ও পরিচর্যা, বাবা মায়ের সেবা ও তাদের আদেশ মেনে চলা, যার যার ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা, নিয়মিত ধর্মগ্রন্থ পাঠ, অসৎ সঙ্গ ত্যাগ, মাদক থেকে দূরে থাকা ও ভবিষ্যতে কোনও অপরাধারে নিজেকে সম্পৃক্ত না করতে বলা হয়েছে।
বুধবার সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ও শিশু আদালতের বিচারক জাকির হোসেন এ রায় দেন।
এদের বিরুদ্ধে মারপিট, প্রশ্ন ফাঁস, অপরাধী পলায়নে সহায়তা, ফেসবুকে মানহানিকর প্রচারসহ ১০টি মামলা ছিল। আদালতে সেগুলো প্রমাণও হয়েছে। তাদেরকে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠাতে পারতেন বিচারক।
তবে আদালত শিশুদের মানসিক চাপ ও ভবিষ্যৎ কথা চিন্তা করে ভিন্নধর্মী রায় দিল।
এই এক বছর শিশুরা শর্তগুলো পালন করছে কি না, তা তদারকি করেবন একজন প্রবেশন কর্মকর্তা।
জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রবেশন কর্মকর্তা শাহ মো. শফিউর রহমান বলেন, ‘বাড়িতে থেকে যদি তাদের সংশোধন না হয় তাহলে তাদের কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হবে।’
রায়ে খুশি অভিভাবকরা। তাদের সন্তানরা নিজেদের সংশোধন করে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আশা করছেন তারা।
এক শিশুর অভিভাবক নজরুল ইসলাম বলেন,‘আদালত যেসব শর্ত দিয়েছে তা ছেলে পালন করে কি না, আমরা তা খেয়াল রাখব।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী রুহুল তুহিন বলেন, ‘আদালতের এই নির্দেশনা আমাদের বিচার ব্যবস্থার সম্মান বাড়িয়েছে।’